সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন ক্লাসের ভিডিও দিতে আপত্তি জবি শিক্ষকদের

শিক্ষা বিডিঃ করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চলমান অনলাইন ক্লাসের ভিডিও  সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও জবি (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষকরা তা করছেন না। গত সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্লাসের ভিডিও প্রকাশ না করার বিষয়ে প্রাইভেসি, কারিগরি জটিলতার শঙ্কার কথা বলছে বিভিন্ন বিভাগ। অনলাইন ক্লাসের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়েই মূলত এ সমস্যাটি।

গত ২ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা যেন যে কোনো সময় দেখতে পারেন, সেজন্য অনলাইন ক্লাসের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম অর্থাৎ ফেসবুক বা ইউটিউবে আপলোড করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এর আগে বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার বিষয়ে বৈঠকে এ ক্লাসের রেকর্ড অনলাইন প্লাটফর্মে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে কম্পিউটার সায়েন্স, লোকপ্রশাসন, অর্থনীতি, প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান, ফিন্যান্স, ভূমি ব্যবস্থাপনা, ইংরেজি, উদ্ভিদবিজ্ঞান, আইন, বাংলা, নৃবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামিক স্টাডিজ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, আইইআর ও আইএমএল বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসের ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

তাদের কাছে জানতে চাইলে ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, এখানে অনেক প্রাইভেসি ইস্যু আছে। মানে শিক্ষার্থীরা এই ভিডিও নিয়ে পাবলিকলি কোট করতে পারে, তা নিয়ে শিক্ষকদের আপত্তি আছে। তাই আমরা এগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দিতে পারছি না। ফেসবুক বা ইউটিউবের বিকল্প অন্য কোনো মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করে অনলাইন ক্লাস নেয়া যায় কিনা এ বিষয়ে একাডেমিক কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে তিনি জানান।

রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ইন্টারনেট দুর্বল থাকায়  অনেক সময় অনলাইন ক্লাস ডিসকানেক্ট হয়ে যায়, প্রায় সময় কথা কেটে আসায় বুঝতেও পারি না। আমরা অনেকেই অনেকে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না। পাশাপাশি আরো জানায় ইন্টারনেটের খরচ বাড়ায় সামর্থ্য না থাকলেও আমার মতো অনেকে আছে যারা অনলাইন ক্লাসে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু যদি ভিডিও আপলোড করা হয় তাহলে আমরা পরে সেটা সহজেই দেখে নিতে পারতাম।

এদিকে এই অনলাইন ক্লাস নতুন একটি অভিজ্ঞতা হওয়ায় সমস্যাগুলো বেশী হচ্ছে বলে মনে করেন উপাচার্য মীজানুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম কোন ছাত্র যাতে বঞ্চিত না হয়। হয়তো অনেকে সময়মতো ক্লাসটা দেখতে পারবে না,  তাই সে যাতে পরেও যেকোন সময় এ ক্লা দেখতে পারে সেজন্য এটার রেকর্ড রাখার। তবে এটা নির্দেশনা নয় শুধু ছিল পরামর্শ। কিন্তু এটা সবাই পারছে না। এটা নিয়ে ছাত্ররা যেমন সমস্যার মধ্যে পড়েছে তেমনিভাবে অনেক শিক্ষকও টেকনিক্যাল অভিজ্ঞতা না থাকায়- এগুলা করতে বিলম্বিত হচ্ছে। আমরা আশাবাদী আস্তে আস্তে সমস্যাগুলো কেটে যাবে।

Be the first to comment

Leave a Reply