প্রিয়তমার নামে লেখা চিঠি-১ (এ.আই.তরিকুল)

প্রিয়তমেষু,
যেদিন প্রথম হারাইয়াছি সেদিন তোমাকে খুঁজিয়া না পাইয়া কত যে খুঁজিয়াছি। না পাইয়া যখন বাড়ি ফিরতে চাহিয়াছিলাম কিন্তু বাড়ি ফিরিবার রাস্তাটা খুঁজিয়া পাই নে। হারাইয়া হারাইয়া যখন তোমাকে পাইয়াছি আবারও হারাইয়া গিয়াছ। এইবার কী হইবে মোর? দিন কয়েক কাটিয়া গিয়াছে তবুও বাড়ি যাইবার পথ খুঁজিয়া পাইনি। বারবার তোমাতে হারাইয়া যাওয়াটা কী প্রেম ছিল না তবে?

একঝাঁক ললনার মাঝে তুমি; তোমারে চিনিবার উপায় জানা ছিল না মোর। পশ্চাত দিগ হইতে তোমায় চিনিতে হইতো। বলিষ্ঠ বাহু তোমার, ভ্রমর কালো অলকগুচ্ছ কটিদেশ পর্যন্ত প্রলম্বিত। পশ্চিম দিগন্তের সূর্যের আলোতে বাদামী রঙা হইয়া যাইতো। রূপসীদের ভীর ঠেলিয়া ঠেলিয়া না যাইয়া ধীর হইয়া চলিতাম। ইহার মধ্য দিয়া তোমাকে হারাইয়া ফেলিতাম। কোথায় তোমার গন্তব্য স্টেশন জানা ছিল না কিছুই। রূপসীদের ঐ ভীরটার প্রতি আমি ক্ষুব্ধ হইতাম। ক্রমাগত কৌতূহল আরও বাড়িয়া উঠিতে লাগিল। চাঁদমুখ খানা দেখিবার জন্য কত শত চেষ্টা ব্যর্থ হইতে থাকিল। আজ, বন্যেরা টহলরত অবস্থায় ছিলেন যাহার কারনেই ভীতা রূপসীরা পুরুষদিগকে আগে যাইতে দিইয়াছেন। চাঁদমুখ খানি দেখিতে গিয়া তাহার একজোড়া হরিণীর চক্ষে ধরা পরিয়া গেলাম। আমার অবাক চাহনীতে তাহার আধফুটা কুসুম হাঁসি হাসিয়া আমার হৃদয়ের গভীরটাকে ছুঁইয়া দিয়াছে। ভদ্র তাহার নিন্ম দৃষ্টি, যেনো পিচঢালা পথের দিকে চাহিয়া মনে মনে পাথর গুনিতেছে। কিয়ৎক্ষনের মধ্যেই রূপসীদের তাড়াহুড়োর দলটা আমার  অবাধ্য দৃষ্টির লাগাম টানিয়া দিল।

  – ইতি
তুমার ভীরু প্রেমিক।

বরমী বাজার

২৬ নভেম্বর ২০১৯

মঙ্গলবার।

Be the first to comment

Leave a Reply